লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তার শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার শিষ্যরা তাকে “সাঞ’’ বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে আখড়ায় একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত। চট্টগ্রাম, রঙপুর, যশোর এবং পশ্চিমে অনেক দূর পর্যন্ত বাংলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বহুসংখ্যক লোক লালন ফকিরের শিষ্য ছিলেন; শোনা যায় তার শিষ্যের সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের বেশি ছিল।
লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া শহর হতে ৪ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। মাজারটি কুষ্টিয়া শহরের সাথে সড়কপথে সংযুক্ত। মাজারে রাত্রি যাপনের জন্য রেস্ট হাউস রয়েছে। লালনের বিভিন্ন সংগীত ও লালনের ছবি সম্বলিত নানাবিধ কারুকাজে পরিপূর্ণ বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্পের সমাহার রয়েছে লালনের মাজার সংলগ্ন দোকানগুলিতে। রয়েছে কালিগঙ্গা নদীর নয়নাভিরাম দৃশ্য। কালিগঙ্গা নদীর পাশে পর্যটকদের বসার সুব্যবস্থা রয়েছে। লালনের আগত অতিথিদের জন্য প্রায়শই গান পরিবেশন করে থাকেন লালনের জাত শিল্পীরা। উক্ত পরিবেশনা থাকে উন্মুক্ত এবং যেকোন ব্যাক্তি উক্ত পরিবেশনা উপভোগ করতে পারেন। এছাড়াও লালনের অডিটোরিয়ামের নিচে রয়েছে লালনের ভক্ত সাধুদের থাকার সুব্যবস্থা। মুক্তপ্রান্তরে সারা দিনমান তারা আপন মনে পরিবেশন করে যায় লালনের হাজার মর্মভেদী সংগীত যা আগত অতিথিদের মন কেড়ে নেয় অতি সহজে এবং আবিষ্ট করে এক রহস্যময় আবেশে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস